দশম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর | তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ | WBBSE Class 10 History Chapter 3 Notes PDF Download

 

wbbse-class10-history-question-answers-and-note-chapter3-pothon-pathon-online

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, পঠন পাঠন অনলাইন এর ওয়েবসাইটে তোমাদের স্বাগত জানাই | আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি দশম শ্রেণী ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর

তৃতীয় অধ্যায়

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন

একটি বা দুটি শব্দ উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান 2

(1) বিপ্লব বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ বিপ্লব কথার অর্থ হল কোন প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন । কোন দেশ বা সমাজে জনগণ প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন ঘটলে তাকে বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয় ।

 

2)  বালাকোটের যুদ্ধ কবে এবং কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই যুদ্ধের কি পরিনতি হয় ?

উত্তর: 1831 খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের শিখ জাতির ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আহমেদ এর মধ্যে বালাকোটের যুদ্ধ হয়েছিল । বালাকোটের যুদ্ধ সৈয়দ আহমেদ পরাজিত ও নিহত হন ।


3) দুর্জন সিংহ কে ছিলেন ? 

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

4) ঔপনিবেশিক বাংলায় ধর্মের ছত্রছায়ায় সংঘটিত দুটি কৃষক বিদ্রোহের নাম লেখ ।

উত্তরঃ ওয়াহাবি আন্দোলন ও ফরাজি আন্দোলন ।


5) বেলাকা চাষ বা রাহতি চাষ কী ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

6) ফরাজি আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল ?

উত্তরঃ ফরাজি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল হাজী শরীয়ত এর উদ্যোগে। ফরাজি আন্দোলনের কিছু লক্ষ্য হলো - ক) ব্রিটিশ ভারতকে দার-উল-হারব বা বিধর্মীর দেশ থেকে দার-উল-ইসলাম বা ইসলামের পবিত্র ভূমিতে পরিণত করা । খ) জমিদার নীলকরদের শোষণের অবসান ঘটানো ।

 

7) বারাসাত বিদ্রোহ কী ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

8) মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?

উত্তরঃ মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য ছিল- 1) ব্রিটিশ সরকারের ধারা বাতিল করে দেওয়া মুন্ডা সমাজের চিরাচরিত আইন বিচার ও সামাজিক বিধিব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, 2) দিকু নামে বহিরাগত 'জমিদার মহাজন' ও ব্যবসায়ীদের মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা । 

 

9) কারা পাগলাপন্থী নামে পরিচিত?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

10) উপনিবেশিক শাসনকালে নীলকররা কৃষকদের উপর কিভাবে শোষণ অত্যাচার চালাত ?

উত্তরঃ নীলকররা- 1) কৃষকদের খাদ্য উৎপাদন এর পরিবর্তে জোর করে নীলচাষে বাধ্য করত । 2) নীলচাষের রাজি না হলে নীলকররা কৃষককে তাদের নীলকুঠিতে আটকে রাখত, শারীরিক নির্যাতন চালাত । 3) কৃষকদের গরু-বাছুর ধরে নিয়ে যেত এবং কৃষক পরিবারের মহিলাদের সম্মানহানি করত । 4) নীলকররা কৃষকের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিত ।

 

11) দাদনী প্রথা কী? 

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

12) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া কী?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

13) নীল কমিশন কবে, কী উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

14) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন ?

উত্তরঃ হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক । তিনি তার পত্রিকায় বাংলার চাষীদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের বিবরণ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন করে থাকেন । তিনি দরিদ্র নীলচাষীদের নানাভাবে সহায়তা করেন । 

 

15) বিদ্রোহ ও বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো ।

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

16) ভিল্ কাদের বলা হত ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

17) দিকু কাদের বলা হত?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

18) কেনারাম ও বেচারাম কী ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

19) তিতুমির কে ছিলেন এবং তিনি কাদের বিরুদ্ধে কিভাবে সংগ্রাম করেন?

উত্তরঃ তুমি ছিলেন বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা । তিনি দরিদ্র নির্যাতিত মুসলিমদের নিয়ে অত্যাচারী জমিদার, মহাজন' ও নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং বারাসাত বসিরহাটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন । শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি নিহত হন ।

 

20) রানি শিরোমণি কী জন্য বিখ্যাত?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

21) সৈয়দ আহমেদ এর আদর্শ কি ছিল ?

উত্তরঃ সৈয়দ আহমেদ ব্রিটিশ শাসিত ভারতকে দার-উল-হারব অর্থাৎ বিধর্মীর দেশ বলে অভিহিত করেন । তিনি তার অনুগামীদের ধর্মযুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনে উচ্ছেদ ঘটিয়েছে দেশকে দার-উল-ইসলাম বা ইসলামের দেশে পরিণত করার নির্দেশ দেন । 

22) কোন কোন পত্রিকায় নীল চাষীদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশিত হতো ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

23) অরণ্য আইন কী?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

 

(প্রতিটি প্রশ্নের মান - 4)

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন :

1) একটি শাসনকালে ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন কৃষক ও আদিবাসী বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি কি কি ?

উত্তর: ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে সংঘটিত কৃষক ও আদিবাসী বিদ্রোহের কারণ : 

ভূমিকা: ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে কৃষক ও উপজাতি গোষ্ঠীর ওপর সরকার এবং তাদের সহযোগী জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন ও বিদ্রোহ শুরু হয় । এসব আন্দোলন বা বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি ছিল -

ভূমিরাজস্ব বৃদ্ধি : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কৃষকদের ওপর ভূমির রাজস্বের বোঝা বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দিলে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে যায় ।

ব্রিটিশ আইন ও বিচার ব্যবস্থা: ইংরেজরা ভারতের চিরাচরিত আইন কানুন ও ও বিচার ব্যবস্থা বাতিল করে তাদের নিজস্ব আইন ও বিচার ব্যবস্থা চালু করে । ভারতীয় সমাজে এরূপ বিদেশি হস্তক্ষেপে দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয় ।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ত্রুটি: সরকার প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে কৃষকরা তাদের জমির মালিকানা হারায় এবং জমির মালিকানা চলে যায় এক শ্রেণীর নতুন জমিদারের হাতে । তারা নিজের ইচ্ছামত কৃষকদের ওপর কর বৃদ্ধি করে ।

অত্যাচার: জমিদার শ্রেণী কর আদায়ের কৃষকদের ওপর সীমাহীন নির্যাতন শুরু করে এবং যখন তখন কৃষককে জমি থেকে উৎখাত করতে থাকে । 

খাদ্যাভাব: সরকার কৃষকদের ধানের পরিবর্তে নীল, পাট, তুলো প্রভৃতি চাষে বাধ্য করলে কৃষকদের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয় ।

ঋণের জাল: মহাজন শ্রেণী দরিদ্র প্রজাদের নানাভাবে ঋণের জালে জড়িয়ে দেয় । ফলে প্রজাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে ।

 

2) বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য লেখ ।

উত্তর: বিভিন্ন যুগে শোষক অত্যাচারী প্রভুদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনগোষ্ঠী প্রতিবাদে সামিল হয়েছে । এই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের মাধ্যমে । বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, যেমন -

ক) বিদ্রোহ :

  • সংজ্ঞা: বিদ্রোহ বলতে বোঝায় কোন প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে বিরোধী জনসমষ্টির আন্দোলন । বিদ্রোহ সফল হলে পূর্বতন ব্যবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে, ব্যর্থ হলেও বিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটতে থাকে । 
  • উদাহরণ: ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের রংপুর বিদ্রোহ, পাবনা বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ প্রভৃতি কৃষক বিদ্রোহ হল বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ । এই বিদ্রোহ অনেক সময় ব্যাপক আকার নেয় তাকে বলা হয় মহাবিদ্রোহ । যেমন- 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ । 
খ) অভ্যুত্থান: 
  • সংজ্ঞা: অভ্যুত্থান বলতে বোঝায় কোন প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজ গোষ্ঠীর একাংশের সংগ্রাম ।  
  • উদাহরণ: 1857 খ্রিস্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একাংশের উদ্যোগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহ বা 1946 খ্রিস্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সেনাদের নেতৃত্বে নৌ বিদ্রোহ অভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে ।

গ) বিপ্লব:

  • সংজ্ঞা: বিপ্লব বলতে বোঝায় প্রচলিত ব্যবস্থা দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন । 
  • উদাহরণ: অষ্টাদশ শতকে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব বা 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লব হলুদ বিপ্লব এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । কারণ শিল্প বিপ্লবের ধারা ইউরোপের শিল্প ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে । ফরাসি বিপ্লবের ফ্রান্সের পূর্বতন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে । 

 



3) বাংলায় ফরাজি আন্দোলনের বিবরণ দাও ।

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90


4) সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের কারণ কী ছিল ?  

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

5) তরিকা-ই-মহম্মদিয়া সম্পর্কে কী জানো? 

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

6) টীকা লেখ - বিরসা মুন্ডা 

উত্তর: উপনিবেশিক ভারতে গড়ে ওঠা বিদ্রোহ গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল মুন্ডা বিদ্রোহ এবং মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা । 1899-1900 খ্রিস্টাব্দে ছোটনাগপুর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে । মুন্ডা বিদ্রোহ কে যে প্রাণ দিয়েছিলেন তার নাম বিরসা মুন্ডা । 

ক) শুরুর জীবন: বিরসা মুন্ডা রাচি জেলার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন 1875 সালে । সুগান মুন্ডা, তার বাবা ছিলেন একজন বর্গাচাষী । গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করে দশ-বারো বছর বয়সে তিনি চাইবাসায় জার্মান মিশনারি পরিচালিত আপার প্রাইমারি বিদ্যালয় ভর্তি হন এবং খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন । 

খ) আদর্শ: মাত্র একুশ বছর বয়সে বিরসা মুন্ডা 1895 খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ পেয়েছেন বলে দাবি করেন এবং এক নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেন এক নতুন ধর্মমত প্রচার করতে শুরু । তিনি নিজেকে ' ধরণীর পিতা ' বলে ঘোষণা করেন । সিং বোঙ বা সূর্য দেবতা ছিলেন তার উপাস্য দেবতা । তার ধর্মের মূল কথা হলো আত্মশুদ্ধি, ভালোবাসা ও সমবেত প্রার্থনা । 

গ) বিদ্রোহের সূচনা : 1893 থেকে 1894 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সহকারী বন বিভাগ মুন্ডা গ্রামের পতিত জমি অধিগ্রহণ করতে শুরু করলে বিরসা মুন্ডা সম্পূর্ণভাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মেতে ওঠেন । 1899 খ্রিস্টাব্দে 6000 মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বমন্দা সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন । গয়া মুন্ডা ছিলেন তার বিশ্বস্ত সেনাপতি । খুঁটি ছিল বিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্র । 1899 খ্রিস্টাব্দের 24 শে ডিসেম্বর দিন ধার্য হয় ।  

ঘ) বিদ্রোহের প্রসার ও ব্যাপকতা: রাঁচি, চক্রধরপুর, বুন্দু, তামার, তোরপা, কারা, বাসিয়া প্রভৃতি স্থানে গোপন ঘাঁটি নির্মিত হয় । রাচি ও সিংভূম জেলার গির্জা, থানা, সরকারি অফিস জমিদার, মহাজন, পুলিশ ও ইংরেজ কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ চলতে থাকে । 1900 সালের 9 জানুয়ারি সইল রাকার পাহাড়ের যুদ্ধে গুন্ডাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয় এবং কয়েক শ মুন্দা যুদ্ধে প্রাণ হারায় । বিশ্ব মনটা বন্দি হন এবং 9 জুন মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে রাঁচি জেলে কলেরা রোগে তার মৃত্যু হয় । 

ঙ) উপসংহার: বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডা বিদ্রোহ পুরোপুরি সফলতা অর্জন না করলেও আংশিকভাবে সফল হয়েছিল । 1908 খ্রিস্টাব্দে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করে মুন্ডাদের খুৎকাঠি প্রথা স্বীকার করে নেওয়া হয় । এই বিদ্রোহ মুন্না সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি রাজনৈতিক চেতনা মর্যাদাবোধ সৃষ্টি করে । বিরসা মুন্ডা তার অনুগামীদের প্রশ্নাতীত অনুগত্য অর্জন করে । বিদ্রোহের পরে মুন্ডাদের মধ্যে বিশ্বসম্প্রদায় নামে এক উপজাতি শাখা আত্মপ্রকাশ করে এবং তিনি ' বিরসা ভগবান ' বলে ঘোষিত হন । 
 
7) পাবনা বিদ্রোহ সম্পর্কে যা জানো লেখ । 

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 


(প্রতিটি প্রশ্নের মান - 8) 

রচনাধর্মী প্রশ্ন :

1) নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো । 

উত্তর : 

নীল বিদ্রোহ 

ভূমিকা: ইউরোপে কৃত্রিম নীল আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রভৃতি দেশের খামার মালিকরা ভারতের নিলে লাভজনক ব্যবসা করতে আসত। বাংলা ও বিহারে 1782 থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নীল চাষ শুরু হয়। বাংলার নদীয়া, যশোহর, পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, মালদা প্রভৃতি জেলায় প্রচুর পরিমাণে নীল চাষ করা হতো। ইউরোপ থেকে আগত শ্বেতাঙ্গ খামার মালিকরা এদেশে জমি কিনে বাড়ি নিয়ে নীল চাষ করত এবং উৎপাদিত নিউ ইউরোপে রপ্তানি করে যথেষ্ট লাভবান হতো। এই কারণে নীলকর সাহেবরা বাংলায় নীল চাষীদের উপর প্রচন্ড অত্যাচার করে তাদের নীল চাষ করার জন্য বাধ্য করত। এই ধরনের চরম অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলা নীল চাষীরা 1859 থেকে 1860 খ্রিস্টাব্দে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত । 

 

নীল বিদ্রোহের কারণ :

ক) এলাকা চাষ ও বেলাকা চাষ : এলাকা চাষের ক্ষেত্রে নীলকররা নিজেদের খাসজমিতে দূর থেকে সস্তা শ্রমিক এনে নীল চাষ করতো। এক্ষেত্রে প্রতিদিন 10 হাজার বিঘা জমিতে নীল চাষের জন্য খরচ পরত আড়াই লক্ষ টাকা। বেলাকা চাষ বারতি চাষের ক্ষেত্রে নীলকররা চাষীকে অগ্রিম অর্থ দিয়ে চাষির নিজের জমিতে নির্যাসে বাধ্য করতো। রায়তি চাষের জমি, লাঙল, সার বীজ ও অন্যান্য সব খরচ চাষিকে বহন করতে হত। ফলে এই পদ্ধতিতে প্রতি 10 হাজার বিঘা জমিতে নীল চাষের জন্য খরচ পত্র মাত্র 20 হাজার টাকা। তাই নীলকন্ঠ সর্বদা চাষীকে বে-এলাকা চাষে বাধ্য করতো।

খ) দাদন প্রথা- নীলকন্ঠ নীল চাষের জন্য চাষী কে বিঘা পিছু মাত্র 2 টাকা অগ্রিম দাদন দিত। কোন চাষী একবার দাদুর নিলে তা আর কখনই নীলকরের খাতায় পরিশোধ হতো না। আবার দাদন না নিলে চাষির গরু-বাছুর নীলকুঠিতে নিয়ে আঠাকে রাখা হতো।

গ) জমির মাপে কারচুপি: নীলকর এর কাছ থেকে দাদর নিয়ে যে জমিতে চাষের নীল চাষ করতে হতো তা মাপের সময় নীলকররা ব্যাপক কারচুপি করত। তারা গড়ে প্রতি আড়াই বিঘা জমিকে এক বিঘা বলে গণ্য করতো। 

ঘ) চাষির লোকসান: নীল চাষ করে চাষী প্রচুর আর্থিক লোকসানে হত। নীল কমিশন এর হিসাব অনুযায়ী এক বিঘা জমিতে নীলচাষের চাষের খরচ তেরো টাকা ছয় আনা। সেই নীল বিক্রিয়া করে চা শিল্পে তো মাত্র ছয় টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘা নীলচাষে চাষী লোকসান হত সাত টাকা ছয় আনা। 

ঙ) অত্যাচার: ইকো সাহেবরা ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং অত্যাচারী। তারা নীল চাষ করতে না চাইলে নীলকরদের লাঠিয়াল, পাইক, বরকন্দাজ চাষীকে নীলকুঠিতে এনে আটকে রাখত এবং চাষীদের উপর নির্মম দৈহিক অত্যাচার চালাত । 

চ) ইংরেজ শাসকদের অবিচার: অত্যাচারিত তাহসিনা নীলকরদের বিরুদ্ধে ইংরেজ শাসকদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কখনো ন্যায়বিচার পেত না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ কর্মচারীরা বিচারে তাদের স্বজাতীয় শ্বেতাঙ্গদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করত। 

ছ) চাষীদের দুর্দশা: নীলকর সাহেবরা চাষীকে ধান চাষের পরিবর্তে জমিতে নীলচাষে বাধ্য করত। ফলে চাষির ধান উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা যায়। এদিকে নীল চাষ করে চাষী আর্থিক লোকসানের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়। 


বিদ্রোহের প্রসার : 

তীব্র শোষণে অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে বাংলার প্রায় 60 লক্ষ নীলচাষী বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়। 

ক) আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে তারা নীলকরদের শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা চাপিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র করার বিষয়ে সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। 

খ) অভিযোগের কোনো প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় চাষিরা দাদন নিতে অস্বীকার করে এবং নীলচাষ বয়কট করে । 

গ) নদিয়া, যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর জেলার বহু চাষি চরম নির্যাতন ভোগ করেও নীল চাষে রাজি হয়নি। 

ঘ) আন্দোলনের তৃতীয় পর্যায় চাষিরা বর্ষা, তরবারি, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে নীলকরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় । 

ঙ) বাংলা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একাউন্ট নীলচাষীদের পক্ষ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকা তাদের পক্ষে কলম ধরে। দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন। 


বিদ্রোহের অবসান : 

   বিদ্রোহের অবসান ইতিমধ্যে বাংলার ছোটলাট পিটার গ্রান্ট পূর্ববাংলা সফরে এলে হাজার নীলচাষি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তাদের করুণ অবস্থার কথা তাকে জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি নীল কমিশন 1860 খ্রিস্টাব্দে গঠন করেন। এই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলায় জোরপূর্বক নীলচাষ নিষিদ্ধ হলে নীল বিদ্রোহ থেমে যায়। 


বিদ্রোহের ফলাফল ও গুরুত্ব: 

     নীল বিদ্রোহ আপাতদৃষ্টিতে বন্ধ হলো বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বাংলার অত্যাচারিত নীলচাষীদের উদ্যোগে অসংগঠিত নীল বিদ্রোহ উনিশ শতকে ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় । 

ক) স্বতঃস্ফূর্ত গণবিদ্রোহ: নীল বিদ্রোহ ছিল নীলকরদের বিরুদ্ধে সংগঠিত একটি স্বতন্ত্র গণবিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের গুরুত্ব সম্পর্কে অমৃতবাজার পত্রিকার মন্তব্য করা হয়েছে যে নীল বিদ্রোহ দেশের মানুষকে রাজনৈতিক চেতনা ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের শিক্ষা দিয়েছিল । 

খ) শিক্ষিত সম্প্রদায় নজর: নীল বিদ্রোহ কে উপলক্ষ করে বাংলায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর গ্রাম গঞ্জের সাধারণ গরিব লোকদের প্রতি নজর দেয়। ফলো তো শিক্ষিত সমাজের সঙ্গে নীল বিদ্রোহ ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ ঘটে। 

গ) রাজনৈতিক চেতনা: নীল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইংরেজ সরকারের অত্যাচার ও শোষণের আসল রূপ শিক্ষিত সমাজের চোখে ধরা পড়ে। 

ঘ) হিন্দু মুসলিম ঐক্য: নীল বিদ্রোহ কে কেন্দ্র করে বাংলায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের চাষিরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং একসঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়। 

ঙ) গান্ধীজির আন্দোলনের অগ্রদূত: নীল বিদ্রোহ কে বিশ শতকে গান্ধীজীর নেতৃত্বে পরিচালিত অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

চ) জাতীয়তাবোধ: নীল বিদ্রোহ সামন্তপ্রথা উপনিবেশিক শাসনের ভিত্তিমূলে কুঠোর আঘাত করে। এই বিদ্রোহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি জাতীয়তা বোধ জাগ্রত করে শেষ পর্যন্ত তার স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত করে । 

 

উপসংহার : 

ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র মিত্র বলেছেন, " এ বিদ্রোহ স্থানিক বা সামরিক নয়, উহার নিমিত্ত যে কত গ্রাম্য বীর ও নেতাদের উদয় হইয়া ছিল ইতিহাসের পাতায় তাহাদের নাম নাই। " তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং স্বীকার করেছেন যে তাদের কাছে নীল বিদ্রোহ 1857 খ্রিস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের চেয়েও উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে উঠেছিল। নীল চাষীদের উপর নির্মম অত্যাচার বাংলা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চোখ খুলে দেয়। এই বিদ্রোহ পরবর্তীকালে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে । 

 

2) সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করো ।

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

3) বারাসাত বিদ্রোহের বিবরণ দাও। বা বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের বিবরণ দাও । 

উত্তর: ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ । তিতুমীর মক্কায় গিয়ে সৈয়দ আহমেদের কষ্ট দেওয়া হবে আদর্শ গ্রহণ করেন এবং তিনি বাংলাদেশের ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু করেন । 

তিতুমীরের এই ওয়াহাবি আন্দোলন বাংলা এক ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যা ইতিহাসের পাতায় এক অন্যতম নজির রেখে যায়। 

নেতৃত্ব: বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা মীর নিসার আলী তিতুমীর জমিদার ও নীলকরদের হাতে নির্যাতিত দরিদ্র মুসলমানদের নিয়ে একটি বিরাট বাহিনী গড়ে তোলেন।  এতে জমিদার ও নীলকররা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে ওঠে । 

অত্যাচারের মাত্রা: জমিদার নীলকরদের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ শুরু হলে ব্রিটিশ বাহিনী ও তিতুমীরের বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নেমে পড়ে । পুরানো জমিদার কৃষ্ণদেব রায় ঘোষণা করেন যে কেউ তৃণমূলের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলে বা দাড়ি রাখলে তাকে জরিমানা দিতে হবে এবং তিতুমীরকে কেউ বাড়িতে আশ্রয় দিলে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা পর্যন্ত হতে পারে । এই অত্যাচার মাত্রাতিরিক্ত ওঠায় বিদ্রোহ ঘোষিত হয় । 

কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে সংঘর্ষ: বিভিন্ন ঘটনায় তিতুমীরের বাহিনীর সঙ্গে কৃষ্ণদেব রায় সংঘর্ষ বেঁধে থাকে তিতুমীর 300 জন অনুগামী সহ কৃষ্ণদেব রায়ের বাড়ি আক্রমণ করে এবং সংঘর্ষ হিন্দু মন্দির ধ্বংস এবং বহু পুরোহিত নিহত হয় । 

' বাদশাহ ' রূপে বহিঃপ্রকাশ: তিতুমীর বারাসাত বসিরহাট এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে নিজেকে বাদশা বলে ঘোষণা করেন । দর্শনের প্রধানমন্ত্রী হন মৈনুদ্দিন ও সভাপতি হন গোলাম মাসুম । তিনি নারকেলবেরিয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করে সেখানে তার সদরদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন স্থানের জমিদারদের কাছে কর দাবি করেন । এই ঘটনা বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত । দক্ষিণ 24 পরগনা, উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া ঢাকা খুলনা যশোর রাজশাহী মালদহ সহ বিভিন্ন জেলায় তিতুমীরের আন্দোলন সম্প্রসারিত হতে থাকে । 

পরিণতি:  জমিদার নীল করবি ইংরেজ কোম্পানির মিলিত বাহিনী 1831 খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের বাহিনীকে আক্রমণ করে এবং কামানের আঘাতে তিতুর বাঁশেরকেল্লা ধ্বংস করে দেয় । তিতুমীর ও তার কয়েকজন অনুগামী যুদ্ধক্ষেত্র বীরের মতো মৃত্যুবরণ করে 19 নভেম্বর 1831 খ্রিস্টাব্দে । 


4) উনিশ শতকে ভারতের বিভিন্ন কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহ গুলির ব্যর্থতার পিছনে কারণ কী ছিল ?

উত্তর:  এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেখার জন্য নীচে দেওয়া লিংক থেকে PDF ডাউনলোড করুন ।

Download PDF to View Answer/button/#04cc90

 

 

তৃতীয় অধ্যায়ের সম্পূর্ণ PDF ডাউনলোড করার জন্য নীচের DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন ।


Join Our Telegram Channel for Notifications

pothon-pathon-online-telegram-channel



তোমাদের কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা তোমরা এই পোস্টের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো ।

আমাদের লেটেস্ট পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করতে পারো । আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করার জন্য পাশের লিংকটিতে ক্লিক কর: Pothon Pathon Facebook Page

 

আমাদের Telegram Channel এ জয়েন হতে পাশের লিংক এ ক্লিক করন: Pothon Pathon Telegram

এছাড়া অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের মেল করতে পারো | আমাদের মেল আইডি হল: pothonpathononline@gmail.com

 

Tags: WBBSE Class 10 History Chapter 3 Notes in Bengali PDF, WBBSE Madhyamik Exam 2023 Suggestions, Madhyamik History Suggestions 2023, Madhyamik History Suggestions 2023 with PDF Download, Madhyamik History Suggestion, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশনস 2023 তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ, class 10 history chapter 3 notes in bengali, প্রতিরোধ ও বিদ্রোহবড় প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণির ইতিহাস বড় প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায়, মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয়  অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন, মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন, ক্লাস 10 ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় mcq, মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন
 
 © Pothon Pathon Online

0/Post a Comment/Comments

Please put your valuable comments.

Previous Post Next Post